ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থায় আসছে চমক

বছরের পর বছর রাজধানীর বিষফোঁড়া হয়ে আছে যানজট। তবে যানজট নিরসনে আশার বাণী শোনালেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। তিনি জানিয়েছেন, রাজধানীতে যানজট এবং জন ভোগান্তি নিরসনে নতুন পদ্ধতির পরিবহন ব্যবস্থা আনা হচ্ছে। যা শহরবাসীর জন্য হয়ে উঠবে দারুণ চমক।

২৪ জুলাই সোমবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালী ডিএনসিসি মার্কেটে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি আয়োজিত বিশেষ সাধারণ সভায় আনিসুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রাজধানীবাসীর সবচাইতে বেশি অভিযোগ শুনতে হয় পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে। এই সেক্টরের মতো বিশৃঙ্খলা অন্য কোন সেক্টরে নেই। সবাই রোজ বিরক্ত হন পরিবহণ সেবার মান নিয়ে। পরিবহন ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন পদ্ধতি আনা হচ্ছে। আশাকরছি সকল সমস্যার সমাধান হবে।’
নতুন ধরণের এই পরিবহন সেবা নিয়ে মেয়র বলেন, ‘নতুন এই ব্যবস্থাটি আমার বা কোন মালিকপক্ষের নয় এটা রাষ্ট্রের। আধুনিক বিশ্বের এই সেবাটি দেশে আনা হচ্ছে। যদিও নতুন পদ্ধতিটি চালু করা কঠিন। তবে আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ী। চালু হলে দেখবেন রাস্তার এক লেনে চলছে লাল বাস, অন্য লেনে সবুজ। কোথাও দেখবেন আবার সাদা রঙের বাস।’
মেয়র বলেন, ‘নতুন ধরণের এই পরিবহন ব্যবস্থায় যাত্রী ওঠা-নামা করতে কোনো হুড়োহুড়ি করতে হবে না। বাসগুলো সারিবদ্ধভাবে যাত্রীদের ওঠাবে এবং নির্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যাবে।’
রাজধানীতে মোট ৫টি বাস টার্মিনাল, আলাদা লেনসহ চার হাজারের অধিক নতুন বাস নামানো হবে বলে জানান মেয়র। একই সঙ্গে পাঁচ বছরের পুরনো বাস উঠিয়ে নেয়ার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

গুলশান হামলায় নিহত এসি রবিউলের স্ত্রীকে চাকরী দেওয়ার নামে জাবির এ কী উপহাস!

গুলশানের হোলি আর্টিজানে নিহত শহীদ পুলিশ কর্মকর্তা রবিউলের স্ত্রীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেটা করলো সেটা শুধু ওই পরিবারের সঙ্গে নয়, বরং এদেশের পুলিশ বাহিনী, দেশপ্রেমিক মানুষ সবার সঙ্গে শঠতা, ভন্ডামি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কয়েকজন ছাত্র এবং সাংবাদিকের পোষ্ট পড়ে আমার মনেও একই প্রশ্ন জেগেছে একটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চিন্তা-চেতনা কতটা নিচে নামলে এসব মশকরা তারা করতে পারে।

ঘটনা হ‌লো, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের শহীদ সিনিয়র সহকারি কমিশনার (বিপিএম-মরনোত্তর) রবিউল করিম কামরুলের স্ত্রী উম্মে সালমা মাস্টার্স পাস। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণি, অনার্সে ২য় শ্রেণি এবং মাধ্য‌মিক ও উচ্চ মাধ‌মিক দু‌টোতেই প্রথম বিভাগ।
অা‌মি ম‌নে ক‌রি ওই বিশ্ববিদ্যাল‌য়ের অ‌নেক শিক্ষ‌কের চে‌য়ে তার ফলাফল কোন অংশে খারাপ নয়। অার এই যোগ্যতা নি‌য়েই ওই বিশ্ববিদ্যাল‌য়ের প্রথম শ্রেণির প্রশাসনিক কর্মকর্তা প‌দে অা‌বেদন ক‌রে যথারী‌তি ভাইভাও দিয়ে‌ছেন তি‌নি। অথচ তাকে তৃতীয় শ্রেণির পদের জন্য মাস্টাররোল (কাজ করলে দৈনিক ৫৫০টাকা, ৯০দিনের জন্য) নি‌য়োগের চি‌ঠি দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। অার প্রশাস‌নিক কর্মকর্তা প‌দে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর কর্তৃপ‌ক্ষের কা‌ছে অামার খুব জান‌তে ইচ্ছে ক‌রে, অাপনা‌দের বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের একজন সা‌বেক ছাত্র একজন শহীদ পু‌লিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর সঙ্গে এমন প্রহসন বা মশকরা কেন কর‌লেন? প্রহসন বা মশকরা বলছি এ কারণে যে রবিউলের স্ত্রীকে আপনারা চাকরি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে জনসংযোগ বিভাগ থেকে পত্রিকাগুলোতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে সারাদেশের মানুষের প্রশংসা কুড়িয়ে এখন কেন হীন মানসিকতা প্রকাশ করছেন? অাপনার ম‌নে এই য‌দি থাক‌তো তাহ‌লে এতে ঢাক‌ঢোল পেটা‌নোর কী ছিল?
এ দে‌শের বিশ্ব‌বিদ্যালয়গু‌লো‌তে নি‌য়োগ মা‌নে কী হয় অামরা কম বে‌শি জানি। ‌অামা‌দের অ‌নেক পাব‌লিক বিশ্ব‌বিদ্যালয় যে এখন অ‌নে‌কের স্ত্রী-শ্যালিকা-ভাই-বোনদের পুনর্বাসন কেন্দ্র হ‌য়ে‌ছে সেটা অামরা কম বে‌শি জা‌নি। তাই ব‌লে একজন শহীদ প‌রিবার‌কে, দুই সন্তা‌নের মা‌কে এমন অপমা‌নের দরকার কী ছিল?
অা‌মি ম‌নে ক‌রি জাহাঙ্গীরনগর প্রশাসন চরম দা‌য়িত্বহীনতার প‌রিচয়ই শুধু দেয়‌নি, তারা রী‌তিমত মানু‌ষের অা‌বেগ নি‌য়ে খে‌লে‌ছে। একজন বি‌সিএস পু‌লিশ কর্মকর্তাই নন, অামার ম‌নে হয় এটা এদে‌শের সমগ্র পু‌লিশ বা‌হিনী এবং শহীদ প‌রিবা‌রকে অপমান। করুণা দেখা‌নোর না‌মে এমন ভিক্ষুকে‌র ম‌তো অাচরণ বিশ্ব‌বিদ্যালয় থে‌কে হ‌তে পা‌রে ভাব‌লেই ম‌নে হয় কতটা হীন স্বা‌র্থের মানুষ অামরা। অাচ্ছা যে শিক্ষ‌কের স্ত্রী‌কে চাকু‌রিটা দেয়া হ‌লো, তার নি‌জের কী খারাপ লাগ‌বে না ওই চাকু‌রি কর‌তে?
দে‌শের পু‌লিশ বা‌হিনীর কা‌ছে অামার খুব জান‌তে ইচ্ছে ক‌রে নিহত সহকর্মী‌র প‌রিবা‌রকে এমন অপমানে অাপনাদের কী খারাপ লা‌গে না? অার অাপনা‌রাই বা নি‌জে থেকে মে‌য়ে‌টির প‌রিবার‌কে চাকু‌রি দেয়ার উ‌দ্যোগ নি‌লেন না কেন!
জাহাঙ্গীরনগর কর্তৃপক্ষের কা‌ছে অামার প্রশ্ন, শিক্ষক কর্মকর্তা না‌মে এ দে‌শের বিশ্ব‌বিদ্যালয়গলো‌তে কী নি‌য়োগ হয় সেটা কী জা‌তি জা‌নে না? অাপনারা অাজ‌কে একজন শহীদ পু‌লি‌শের স্ত্রী‌কে কর্মকর্তা পদে চাকু‌রি দি‌য়ে কোথায় বড় হ‌বেন তা নয়, উল্টো নি‌জেদের ছোট‌লোক‌ি দেখা‌লেন। অবশ্য জাহাঙ্গীরনগর কর্তৃপক্ষ বল‌তে পা‌রে, অামরা তো তা‌কে অায়া বুয়ার চে‌য়ে ভা‌লো চাকু‌রি দি‌য়ে‌ছি।
অা‌মি জা‌নি না র‌বিউল ভাই‌য়ের প‌রিবার এই চাকু‌রি মেনে নি‌য়ে‌ছে কী না জীবন জী‌বিকার তা‌গি‌দে। ত‌বে অামি এই প্রস্তাব ঘৃণাভ‌রে প্রত্যাখান কর‌ছি। অামার ম‌নে হয় জাহাঙ্গীরনগ‌রের প্র‌তি‌টা সা‌বেক শিক্ষার্থী, বর্তমান শিক্ষার্থী, বি‌বেকসম্পন্ন দে‌শের প্রত্যেকটা মানুষ এ প্রস্তাব প্রত্যাখান কর‌বে।
এ রা‌ষ্ট্রের সব‌কিছুর জন্য তো অামা‌দের প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকা‌তে হয় অা‌মি তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সং‌শ্লিষ্ট সবার কা‌ছে দাবি কর‌ছি, একজন বীর শহী‌দের স্ত্রী প‌রিবার‌কে যেন যোগ্য সম্মান দেয়া হয়। তার দুই সন্তা‌নের লেখাপড়ার দায়িত্ব, বড় করার দা‌য়িত্বও যেন এই রাষ্ট্র নেয়। নয়তো জ‌ঙ্গিবাদমুক্ত এই বাংলা‌দেশ গড়ার লড়াই‌য়ের একজন শহীদের স‌ঙ্গে, একজন বীর সেনা‌নির স‌ঙ্গে বড় প্রতারণা হ‌বে।

ক্রিকেটকে আরও আকর্ষণীয় করতে আইসিসির নতুন নিয়ম কানুন

খেলাধুলার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় যে খেলা, তা হল ক্রিকেট। ক্রিকেট নিয়ে মানুষের মাঝে উত্তেজনার কখনো কমতি হয়না। পরিবর্তনের পথে ক্রিকেট,এমন কথা যেন অনেক দিন ধরেই শুনে আসছিলেন খেলাটির সাথে সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে যারা নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখেন তারা তো নানা ভাবনাও ভেবে রেখেছেন। তবে পরিবর্তনটা সময়ের প্রয়োজনে কিনা সে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। সময়ের প্রয়োজনে যুগে যুগে সব ধরনের অবকাঠামোতেই আসে পরিবর্তন। মাঠের খেলা ক্রিকেটও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে পরিবর্তনটা সময়ের প্রয়োজনে কিনা সে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। সময়ের প্রয়োজনে যুগে যুগে সব ধরনের অবকাঠামোতেই আসে পরিবর্তন। মাঠের খেলা ক্রিকেটও এর ব্যতিক্রম নয়। এক সময় টেস্ট খেলা হত যার কোনো নির্দিষ্ট সময় বাধা ছিল না। এরপর একসময় তা বেধে দেয়া হয় সময়ের বেড়াজালে। সেই সময় কমতে কমতে এখন পাঁচ দিনে এসে ঠেকেছে। তেমনি ৬০ ওভারের একদিনের ক্রিকেটও এখন অতীত। আর হালের টোয়েন্টি-২০ তো আছেই। এছাড়া বিভিন্ন দেশের সাথে পারস্পারিক ক্রিকেট আয়োজনেই আছে অনেক নিয়ম-কানুন। ক্রিকেটে আগের নিয়মের সংস্কার ও বেশ কয়েকটি নতুন নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।১ অক্টোবর থেকে ক্রিকেটে বেশ কিছু নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে। নতুন নিয়মে ব্যাটের দৈর্ঘ ও প্রস্থের সীমাবদ্ধতা আসছে। এছাড়া মাঠে বাজে আচরণের কারণে খেলোয়াড়কে লালকার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়া করার অধিকার পাবেন আম্পায়ার। ডিআরএস সিস্টেমেও পরিবর্তন আসছে।

ব্যাটের আকার: অনেক খেলোয়াড়ই তার নিজের পছন্দ মত ব্যাট দিয়ে ব্যাটিং করে থাকেন। যার ফলে তারা একটু বেশী সুবিধা আদায় করে নিতে পারতেন। কিন্তু এখন থেকে আর ব্যাটসম্যানদের ইচ্ছামত ব্যাট ব্যবহার করতে পারবেনা। ব্যাট এবং বলের আকারে সমন্বয় করতে নির্দিষ্ট একটি আকার ঠিক করে দিয়েছে আইসিসি। এখন থেকে কোনও খেলোয়াড়ের ব্যাটের প্রস্থ ১০৮ মি.মি’র বেশি হতে পারবে না। ব্যাট পুরু হবে সর্বোচ্চ ৬৭ মি.মি। কানা পর্যন্ত পরিমাপ ৪০ মি.মি। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ব্যাটের প্রস্থ ১০৮,পুরু ৬৭ ও কিনারা হবে সর্বোচ্চ ৪০ মিলিমিটার।
ডিআরএস: স্টেম চালু হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক ছিল, যা চলমান আছে। ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) এ পরিবর্তন এসেছে। এখন থেকে আম্পায়ার্স কলের বিপরীতে রিভিউ ডেকে কোনও দল হেরে গেলে তাদের নির্ধারিত রিভিউটি নষ্ট হবে না। তারা আরেকবার রিভিউ নিতে পারবে। যেহেতু ‘আম্পায়ার্স কল’র ক্ষেত্রে মাঠের সিদ্ধান্ত উল্টো হলেই রিভিউ সঠিক হয়ে যেত, সেক্ষেত্রে রিভিউটি বাতিল হওয়া দুর্ভাগ্যজনক। তাই রিভিউতে সফল হলে তাদের নির্ধারিত রিভিউটি অক্ষত থাকবে। বর্তমান নিয়মানুযায়ী, টেস্টের প্রথম ৮০ ওভারে প্রতিটি দল দুটি করে রিভিউ নিতে পারে। ওডিআইতে ইনিংসে একটি করে। নতুন নিয়মে প্রতি ৮০ ওভারে নতুন দুটি রিভিউ পাওয়ার নিয়মটা বাতিল হয়ে পুরো ইনিংসেই শুধু দুটো রিভিউ থাকবে। এখন থেকে টি-টুয়েন্টিতেও রিভিউ পদ্ধতি চালু হবে। আগে টি-টুয়েন্টিতে এই নিয়ম ছিলনা।
জরিমানাঃ খেলোয়াড়দের অতিরিক্ত আবেদনের ব্যাপারেও আসছে নিয়ম। এমনটা হলে প্রথমে খেলোয়াড়কে আম্পায়ার সতর্ক করে দিবেন। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করা হলে তাদের পাঁচ রান করে জরিমানা করতে পারবেন আম্পায়ার। প্রতিপক্ষ কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে ইচ্ছা করে ধাক্কা খেলে বা কারো দিকে বল ছুড়ে মারলেও পাঁচ রান জরিমানা করা হবে।
খেলোয়াড় বহিষ্কার বা লাল কার্ড: আর এক জনপ্রিয় খেলা ফুটবলের মতো শারীরিক শক্তি প্রদর্শনের বিষয় সেভাবে নেই ক্রিকেটে। কিন্তু স্লেজিং ও অন্যান্য বাজে আচরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটতে দেখা যাচ্ছে ক্রিকেট মাঠে। কেউ সে রকম শাস্তিযোগ্য অপরাধ করলে এতদিন সেই শাস্তিটা দেওয়া হতো খেলার পর। যা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক থেকে যেত। কিন্তু নতুন নিয়ম কার্যকর হলে মাঠেই খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন আম্পায়াররা। খারাপ আচরণ করা কোনো খেলোয়াড়কে তাৎক্ষণিকভাবে মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে আম্পায়ারদের হাতে। সেই দলের অধিনায়ক যদি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে না নেন,তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই জয়ী ঘোষণা করা হবে প্রতিপক্ষ দলকে। আর দুই দলের অধিনায়কই যদি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন,তাহলে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণার অধিকারও থাকবে আম্পায়ারের।
রানআউট: এছাড়া রান নেয়ার সময় ব্যাটসম্যান নিরাপদে ক্রিজ পার হওয়ার পর আবারও যদি তাঁর ব্যাট এবং শরীর- দু’টোই শূন্যে ভেসে ওঠে আর এই সময় তার স্টাম্প ভেঙে দেয়া হয় তাহলে ব্যাটসম্যান আউট হবে না। একবার ক্রিজ পার হলেই ব্যাটসম্যান তখনকার মতো নিরাপদ হয়ে যাবে। সম্প্রতি এমন ঘটনায় বেশ কয়েকজন ব্যাটস্যমান আউট হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। তবে এবার সেটা বন্ধ হতে যাচ্ছে।
মানকড় আউট: বোলার বোলিং করার সময় নন-স্ট্রাইকার ব্যাটসম্যান উইকেট থেকে বেরিয়ে এলে তাঁকে রানআউট করতে হলে বোলারকে আগে ক্রিজে ঢুকতে হয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ক্রিজে না ঢুকেই বোলার ওই ব্যাটসম্যানকে রানআউট করতে পারবেন। তাই ব্যাটসম্যানদের আরও বেশী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে ও বোলারদের আরও বেশী কৌশলী হতে হবে।
বল ডেড হওয়ার আগে ব্যাটসম্যান হাত দিয়ে বল ধরলে ফিল্ডারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ‘হ্যান্ডল দ্য বল’আউট দেওয়া হতো। এই আউট থাকছে। তবে তার নাম হচ্ছে ভিন্ন। সামনে থেকে এটাকে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’হিসেবে অভিহিত করে আউট দেয়া হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নতুন নিয়ম গুলি চালু হলে ক্রিকেট খেলা আরও বেশী আকর্ষণীয় ও প্রতিযোগিতা মূলক হয়ে উঠবে, যা দর্শক সহ সকল মহলের জন্য উপভোগ্য হবে। এখন দেখার বিষয় আসলেই নতুন নিয়ম গুলো ক্রিকেটের আকর্ষণ বাড়াতে কোন ভূমিকা পালন করতে পারে কিনা।

১৬ টি কুফরি বাক্য যা আমরা নিয়মিত বলে থাকি

১. আল্লাহর সাথে হিল্লাও লাগে। ২. তোর মুখে ফুল চন্দন পড়ুক। ( ফুল চন্দন হিন্দুদের পুজা করার সামগ্রী) ৩. কস্ট করলে কেস্ট মেলে ( কেস্ট হিন্দু দেবির নাম, তাকে পাবার জণ্য কস্ট করছেন?) ৪. মহভারত কি অশুদ্ধ হয়ে গেল? ( মহাভারত একটি উপন্যাস, যা সবসময় অশুদ্ধ) ৫। মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। ( এটি ইসলামের নামে কটূউক্তি করা) ৬। লক্ষী ছেলে, লক্ষী মেয়ে, লক্ষী স্ত্রী বলা। ( হিন্দুদের দেব-দেবির নাম লক্ষী। তাই ইসলামে এটি হারাম) ৭। কোন ঔষধকে জীবন রক্ষকারী বলা। ( জন্ম- মৃত্য একমাত্র আল্লাহর হাতে) ৮। দুনিয়াতে কাউকে শাহেনসা বলা। ( এর অর্থ রাজাদের রাজাধীকার) ৯। নির্মল চরিত্র বোঝাতে ধোয়া তুলশি পাতা বলা ( হিন্দুদের পুজাতেে তুুুলশি পাতা ব্যবহার করা হয়। তারা তুলশি পাতাকে পবিত্র মনে করেে।১০। ইয়া খাজাবাবা, ইয়া গাঊস, ইয়া কুতুব ইত্যাদি বলা। ( এটি শির্ক, ইসলামের সবচেয়ে বড় পাপ) ১১। ইয়া আলি, ইয়া রাসুল (সাঃ) বলে ডাকা এবং সাহায্য প্রার্থনা করা (আল্লাহ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কারো কাছে সাহায্য চাওয়া শির্ক) ১২। বিসমিল্লায় গলদ বলা। ( এটি সরাসরি কুফরি) ১৩। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়া বলা। ( কুফরি বাক্য, সাবধান। ) ১৪। মধ্যযুগি বর্বরতা বলা। ( মধ্যযুগ ইসলামের সর্ণযুগ) ১৫। মন ঠিক থাকলে পর্দা লাগে না। ( ইসলাম ধংসকারী মতবাদ) ১৬। নামাজ না পড়লে ঈমান ঠিক আছে বলা। ( ইসলাম থেকে বের করার মূলনিতী। 

১০। ইয়া খাজাবাবা, ইয়া গাঊস, ইয়া কুতুব ইত্যাদি বলা। ( এটি শির্ক, ইসলামের সবচেয়ে বড় পাপ) ১১। ইয়া আলি, ইয়া রাসুল (সাঃ) বলে ডাকা এবং সাহায্য প্রার্থনা করা (আল্লাহ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কারো কাছে সাহায্য চাওয়া শির্ক) ১২। বিসমিল্লায় গলদ বলা। ( এটি সরাসরি কুফরি) ১৩। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়া বলা। ( কুফরি বাক্য, সাবধান। ) ১৪। মধ্যযুগি বর্বরতা বলা। ( মধ্যযুগ ইসলামের সর্ণযুগ) ১৫। মন ঠিক থাকলে পর্দা লাগে না। ( ইসলাম ধংসকারী মতবাদ) ১৬। নামাজ না পড়লে ঈমান ঠিক আছে বলা। ( ইসলাম থেকে বের করার মূলনিতী। )
আসুন না একজন আরেকজন কে সচেতন করার জন্য উৎসাহ দেই, এই বাক্য গুলি আপনি যে কোন ভাবে প্রচার করুন।
আপনার একটি শেয়ারে কত মানুষ এই কুফরি বাক্য জানতে পারবে তা কি ভাবা যায়? জাজাকাল্লাহ খায়ের। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রিদিতান দান করুন। আমিন।

Partition of Bengal (1947)

The Partition of Bengal in 1947, part of the Partition of India, divided the British Indian province of Bengal based on the Radcliffe Line between India and Pakistan. Predominantly Hindu West Bengal became a province of India, and predominantly Muslim East Bengal (now Bangladesh) became a province of Pakistan.

The partition enjoyed the support of most Hindu legislators in the Bengal Legislative Assembly, who voted for Hindu-majority western Bengal to be a part of India, instead of a Muslim majority undivided Bengal within Pakistan. Liberal Muslim leaders had earlier proposed an independent United Bengal, but met opposition from various parties, particularly Muslim and Hindu conservatives.

The partition, with the power transferred to Pakistan and India on 14–15 August 1947, was done according to what has come to be known as the “3 June Plan” or “Mountbatten Plan”. India’s independence on 15 August 1947 ended over 150 years of British influence in the Indian subcontinent.

East Bengal, which became a province of Pakistan according to the provisions set forth in the Mountbatten Plan, later became the independent country of Bangladesh after the 1971 Bangladesh Liberation War.

Background

In 1905, the first partition in Bengal was implemented as an administrative preference, making governing the two provinces, West and East Bengal, easier.[1] While the partition split the province between West Bengal, in which the majority was Hindu, and the East, where the majority was Muslim, the 1905 partition left considerable minorities of Hindus in East Bengal and Muslims in West Bengal. While the Muslims were in favour of the partition, as they would have their own province, Hindus were not. This controversy led to increased violence and protest and finally, in 1911, the two provinces were once again united.

However, the disagreements between Hindus and Muslims in Bengal which had sparked the Partition of Bengal in 1905 still remained and laws, including the Partition of Bengal in 1947, were implemented to fulfill the political needs of the parties involved.

As per the plan, on 20 June 1947, The members of the Bengal Legislative Assembly cast three separate votes on the proposal to partition Bengal:

  • In the joint session of the house, composed of all the members of the Assembly, the division of the joint session of the House stood at 126 votes against and 90 votes for joining the existing Constituent Assembly (i.e., India)
  • Then the members of the Muslim-majority areas of Bengal in a separate session passed a motion by 106–35 votes against partitioning Bengal and instead joining a new Constituent Assembly (i.e., Pakistan) as a whole.
  • This was followed by the separate meeting of the members of the non-Muslim-majority areas of Bengal who by a division of 58–21 voted for partition of the province.

Under the Mountbatten Plan, a single majority vote in favour of partition by either notionally divided half of the Assembly would have decided the division of the province, and hence the house proceedings on 20 June resulted in the decision to partition Bengal. This set the stage for the creation of West Bengal as a province of the Union of India and East Bengal as a province of the Dominion of Pakistan.

Also in accordance with the Mountbatten Plan, in a referendum held on 7 July, the electorate of Sylhet voted to join East Bengal. Further, the Boundary Commission headed by Sir Cyril Radcliffe decided on the territorial demarcation between the two newly created provinces. Power was transferred to Pakistan and India on 14 and 15 August, respectively, under the Indian Independence Act 1947.

The United Bengal plan

After it became apparent that the division of India on the basis of the Two-nation theory would almost certainly result in the partition of the Bengal province along religious lines, Bengal provincial Muslim League leader Suhrawardy came up with a radical plan to create an independent Bengal state that would join neither Pakistan nor India and remain unpartitioned. Suhrawardy realised that if Bengal was partitioned, it would be economically disastrous for east Bengal[2] as all coal mines, all jute mills but two and other industrial plants will certainly go to the western part since these were in an overwhelmingly Hindu majority area.[3] Most important of all, Calcutta, then the largest city in India, an industrial and commercial hub and the largest port, would also go to the western part. Suhrawardy floated his idea on 24 April 1947 at a press conference in Delhi.[4]

However, the plan directly ran counter to that of the Muslim League’s, which demanded the creation of a separate Muslim homeland on the basis of the two-nation theory. Initially, Bengal provincial Muslim League leadership opinion was divided. Barddhaman‘s League leader Abul Hashim supported it.[5] On the other hand, Nurul Amin and Mohammad Akram Khan initially opposed it.[5][6] But Muhammad Ali Jinnah realised the validity of Suhrawardy’s argument and gave his tacit support to the plan.[6][7][8] After Jinnah’s approval, Suhrawardy started gathering support for his plan.

On the Congress side, only a handful of leaders agreed to the plan. Among them was the influential Bengal provincial congress leader Sarat Chandra Bose, the elder brother of Netaji and Kiran Shankar Roy. However most other BPCC leaders and Congress leadership including Nehru and Patel rejected the plan. The Hindu nationalist party Hindu Mahasabha under the leadership of Shyama Prasad Mukherjee vehemently opposed it.[9]Their opinion was that the plan is nothing but a ploy by Suhrawardy to stop the partition of the state so that the industrially developed western part including the city of Kolkata remains under League control. They also opined that even though the plan asked for a sovereign Bengal state, in practice it will be a virtual Pakistan and the Hindu minority will be at the mercy of the Muslim majority forever.[8][9][10]

Although the chances of the proposal seeing daylight without Congress central committee’s approval was slim, Bose and Suhrawardy continued talks to reach an agreement on the political structure of the proposed state. Like Suhrawardy, Bose also felt that the partition would severely hamper Bengal’s economy and almost half of the Hindu population would be left stranded on the Pakistani side.[11] The agreement was published on 24 May 1947.[12] However, this was largely a political agreement. The proposal had hardly any support at grassroots level, particularly among the Hindus.[13]Muslim League’s continuous propaganda on the two-nation theory for the previous six years combined with the marginalisation of Hindus in the Suhrawardy ministry and the vicious riots of 1946, which many Hindus believed was state sponsored, left little room for trust in Muslim League among Bengali Hindus.[14] Soon afterwards, division arose among Bose and Suhrawardy on the question of the nature of the electorate; separate or joint. Suhrawardy insisted upon maintaining the separate electorate for Muslims and Non-Muslims. Bose was opposed to this. He withdrew and due to lack of any other significant support from the Congress’s side, the United Bengal plan was discarded.[15] Still, this relatively unknown episode marked the last attempt among Bengali Muslim and Hindu leadership to avoid the partition and live together.

Aftermath

The second partition of Bengal left behind a legacy of violence which continues to this day. As Bashabi Fraser put it, “There is the reality of the continuous flow of ‘economic migrants’ / ‘refugees’ / ‘infiltrators’ / ‘illegal immigrants’ who cross over the border and pan out across the sub-continent, looking for work and a new home, setting in metropolitan centres as far off as Delhi and Mumbai, keeping the question of the Partition alive today. “[16]

Refugee crisis

A massive population transfer began immediately after partition. Millions of Hindusmigrated to India from East Bengal. The majority of them settled in West Bengal. A smaller number went to Assam, Tripura and other states. However the refugee crisis was markedly different from Punjab at India’s western border. Punjab witnessed widespread communal riots immediately before partition. As a result, population transfer in Punjab happened almost immediately after the partition as terrified people left their homes from both sides. Within a year the population exchange was largely complete between East and West Punjab. But in Bengal, violence was limited only to Kolkata and Noakhali. And hence in Bengal migration occurred in a much more gradual fashion and continued over the next three decades following partition.[17][18]Although riots were limited in pre-independence Bengal, the environment was nonetheless communally charged. Both Hindus in East Bengal and Muslims in West Bengal felt unsafe and had to take a crucial decision that is whether to leave for an uncertain future in another country or to stay in subjugation under the other community.[19]Among Hindus in East Bengal those who were economically better placed, particularly higher caste Hindus, left first. Government employees were given a chance to swap their posts between India and Pakistan. The educated urban upper and middle class, the rural gentry, traders, businessmen and artisans left for India soon after partition. They often had relatives and other connections in West Bengal and were able to settle with less difficulty. Muslims followed a similar pattern. The urban and educated upper and middle class left for East Bengal first.[19]

However poorer Hindus in East Bengal, most of whom belonged to lower castes like the Namashudras found it much more difficult to migrate. Their only property was immovable land holdings. Many sharecropped. They didn’t have any skills other than farming. As a result, most of them decided to stay in East Bengal. However the political climate in Pakistan deteriorated soon after partition and communal violence started to rise. In 1950 severe riots occurred in Barisal and other places in East Pakistan, causing a further exodus of Hindus. The situation was vividly described by Jogendranath Mandal’sresignation letter to the then prime minister of Pakistan Liaquat Ali Khan. Mandal was a Namashudra leader and despite being a lower caste Hindu, he supported Muslim League as a protest to the subjugation of lower caste Hindus by their higher caste co-religionists.[20]He fled to India and resigned from his cabinet minister’s post. Throughout the next two decades Hindus left East Bengal whenever communal tensions flared up or relationship between India and Pakistan deteriorated, as in 1964. The situation of the Hindu minority in East Bengal reached its worst in the months preceding and during the Bangladesh Liberation War of 1971, when the Pakistani army systematically targeted ethnic Bengalis regardless of religious background as part of Operation Searchlight.

In independent Bangladesh, state sponsored discrimination of Hindus largely stopped. But like India, the two communities relationship remains tense and occasional communal violence occurred, such as in the aftermath of Babri Mosque demolitionMigration to India continues to present day although now it is mostly due to economic reasons and is not limited to Hindus alone.

Muslims in post-independence West Bengal faced similar discrimination[citation needed]. Although unlike East Bengal no state sponsored discrimination of Muslims occurred, they were shunned by the majority community[citation needed]. While Hindus had to flee from East Bengal, Muslims were able to stay in West Bengal. But over the years, they became ghettoised and they were socially and economically segregated from the majority community.[21] Throughout West Bengal Hindus and Muslims live separately in clear cut defined blocks in cities and rural areas.[citation needed] Muslims lag well behind other minorities like Sikhs and Christians in almost all social indicators like literacy and per capita income.[22]

Apart from West Bengal, thousands of Bihari Muslims also settled in East Bengal. They had suffered terribly in severe riots before partition. But they supported West Pakistan during Bangladesh’s liberation war and were subsequently denied citizenship by Bengalis in independent Bangladesh. Most of these Bihari refugees still remain stateless.

Statistics

The 1951 census in India recorded 2.523 million refugees from East Bengal. Among them 2.061 million settled in West Bengal. The rest went to Assam, Tripura and other states.[23] By 1973 their number reached over 6 million. The following table shows the major waves of refugee influx and the incident that caused it.[24][25]

Year Reason Number in lakhs
1947 Partition 3.44
1948 Hyderabadannexation by India 7.86
1950 Barisal riots 15.75[citation needed]
1956 Pakistan becomes Islamic Republic 3.20
1964 Riots over Hazratbal incident 6.93
1971 Bangladesh liberation war 15

1951 census in Pakistan recorded 671,000 refugees in East Bengal, the majority of which came from West Bengal. Rest were from Bihar.[23] By 1961 the numbers reached 850,000. Crude estimates suggest that about 1.5 million Muslims migrated from West Bengal and Bihar to East Bengal in two decades after partition.[26]

Government response
In Punjab, Indian Government anticipated a population transfer and was ready to take proactive measures. Land plots which were evacuated by Muslims were allotted to incoming Hindu and Sikh refugees.[27]Government allocated substantial resources for rehabilitation of refugees in Punjab. In contrast there was no such planning in the eastern part of the country. Neither Central nor West Bengal state Government anticipated any large-scale population exchange and no coordinated policy was in place to rehabilitate millions of homeless people. The newly independent country had few resource and the Central Government was exhausted in resettling 7 million refugees in Punjab. Instead of providing rehabilitation, the Indian Government tried to stop and even reverse the refugee influx from East Bengal. India and Pakistan signed the Nehru-Liaqut pact in 1950 to stop any further population exchange between West and East Bengal. Both countries agreed to take the refugees back and return them their property which they evacuated in their respective countries. But in practice both countries failed to uphold it. Even after it became clear that refugees were determined not to be sent back, the governments of both countries failed to provide any significant assistance. The Government policy of East Bengal refugee rehabilitation mostly consisted of sending them to ’empty areas’, mostly outside of West Bengal. One of the most controversial of such schemes was the Government’s decision to settle the refugees by force in Dandakaranya, a barren plot of land in central India.[18][19]

Social impact
Without Government’s assistance the refugees often settled themselves. Some found jobs in factories. Many took small businesses and hawking. Numerous refugee colonies sprang up in Nadia24 Paraganas and Kolkata‘s suburbs.

Tripura’s tribal insurgency
The princely state of Tripura had a predominantly tribal population. But educated Bengalis were welcomed by the King and they were prominent in the state’s administration in pre-independence India. But after partition thousands of Bengali Hindus migrated to Tripura. This changed the state’s demography completely. Tripura’s tribes became a minority in their own homeland and also lost their land holdings. As a result, tribal insurgency began which led violent riots among tribes and Bengalis in 1980. Low scale insurgency continues to this day.[28]

ডেন্টিস্ট ছাড়াই বাড়িতে বসে দূর করুন দাঁতের পাথর!

দাঁতে ব্যথা! পাথর জমে হলুদ আবরণ পরে গেছে দাঁতে। অনেকেই ভুগে থাকেন এই সমস্যাটিতে। দেখা যায়, তাদরে দাঁতে কমবেশি হলুদ বা বাদামি খনিজ পদার্থের আবরণ। ডাক্তারি ভাষায় যাকে টার্টার বলা হয়। তবে সাধারণ মানুষ একে দাঁতের পাথর হিসেবে জেনে থাকেন।

মূলত নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না করলেই এই টার্টার বাড়তে থাকে। যা দাঁতের ‘পিরিওডোনটাইটিস’ নামক রোগেরও কারণ।
পিরিওডোনটাইটিস কী:
‘পিরিওডোনটাইটিস’ হলে দাঁতের মাড়ির টিস্যুতে প্রদাহ হয়। ফলে মাড়ি সংকোচিত হয়ে অকালে দাঁত পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এ সমস্যা এড়াতে প্রয়োজন নিয়মিত দাঁতে জমা টার্টার পরিষ্কার করা। টার্টার দূর করার প্রথম সমাধান হলো ডেন্টিস্ট। তবে আপনি চাইলে বাড়িতে বসেও এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
টার্টার পরিষ্কার করতে যা লাগবে:

* বেকিং সোডা

* ডেন্টাল পিক

* লবণ

* হাইড্রোজেন পেরোক্সাইড

* পানি

* টুথব্রাশ

* কাপ

* অ্যান্টিসেপটিক মাউথ ওয়াশ

টার্টার দূর করতে সবচেয়ে সহজলভ্য ও কার্যকরী উপাদান হচ্ছে বেকিং সোডা। আসুন এবার জেনে নিই টার্টার দূর করার পদ্ধতি।
প্রথম ধাপ

কাপে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে ১/২ চা চামচ লবণ মেশান। এবার গরম পানিতে টুথব্রাশ ভিজিয়ে বেকিং সোডা ও লবণের মিশ্রণ দিয়ে পাঁচ মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করুন। সবশেষে কুলকুচি করে নিন।

দ্বিতীয় ধাপ

এক কাপ হাইড্রোজেন পেরোক্সাইডের সঙ্গে ১/২ কাপ হালকা গরম পানি মেশান। এই পানি মুখে নিয়ে এক মিনিট রাখুন। এরপর ১/২ কাপ পানি দিয়ে কুলকুচি করে ফেলুন।

তৃতীয় ধাপ

ডেন্টাল পিক দিয়ে দাঁতের হলুদ টার্টার ধীরে ধীরে ঘষে তুলুন। মাড়ির ক্ষতি এড়াতে ডেন্টাল পিক ব্যবহারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।

চতুর্থ ধাপ

অ্যান্টিসেপটিক মাউথ ওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করুন।

LAW OF TRAFIC

ধারা-১৩৭: মোতাবেক যদি কোন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ী চালায়,গাড়ীতে মেটালিক নাম্বার প্লেট ব্যবহার করে,ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়,নাম্বার প্লেট অস্পষ্ট,বাম্পার দ্বারা নাম্বার প্লেট আবৃত থাকে এবং রং পার্কিং করে; তাহলে উক্ত দ্বারা মোতাবেক ড্রাইভার বা মালিকের ২০০/-টাকা জরিমানা হবে।




ধারা-১৩৯: এ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোন গাড়ীতে হাইড্রোলিক হর্ণ সংযোজিত পাওয়া গেল-উক্ত দ্বারা মোতাবেক ১০০/-টাকা জরিমানা করা হবে।



ধারা-১৪০: এ ধারায় বলা হয়েছে যে,নিষিদ্ধ স্থানে হর্ণ বাজাইলে,ট্রাফিক নির্দেশাবলী অমান্য করিলে,বাঁধা সৃষ্টি ও তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানাইলে,ট্রাফিক সংকেত অমান্য করিলে, ওয়ান-ওয়ে অমান্য করিলে,নিষিদ্ধ ইউটার্ণ করিলে,নিষিদ্ধ সময়ে যানবাহন চলাচল করিলে-উক্ত দ্বারা মোতাবেক ২৫০/-টাকা জরিমানা করা হবে।



ধারা-১৪২: এ ধারায় বলা হয়েছে আইনানুগ সর্ব্বোচ্চ গতিসীমা লংগন করিলে-জরিমানা হবে ৩০০/-টাকা মাত্র ।



ধারা-১৪৬: এ ধারায় বলা হয়েছে যে, দূর্ঘটনা সংক্রান্ত অপরাধ করিলে-জরিমানা হবে ৫০০/-টাকা মাত্র ।



ধারা-১৪৯: এ ধারায় বলা হয়েছে যে,যানবাহনের হেড লাইট,ব্যাক লাইট,ইন্ডিকেটর, ব্রেক লাইট,লুকিং গ্লাস,রিয়ার মিরর (পেছনে দেখার আয়না),ওয়াইপার না থাকিলে বা ক্রটিযুক্ত থাকিলে,যানবাহলে আনসেইফ লোডিং থাকিলে,মটর সাইকেলে ২ জনের অধিক আরহন করিলে,চালকের পাশে বা ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করিলে,হেলমেট ব্যবহার না করিলে-জরিমানা হবে ৩০০/-টাকা মাত্র ।



ধারা-১৫০: যে সকল যানবাহন হইতে স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর এমন ধোয়া বাহির হইলে-জরিমানা হবে ২০০/-টাকা মাত্র ।



ধারা-১৫১: অস্বচ্ছ, রঙ্গীন, কালো গ্লাস ব্যবহার করিলে,ট্রিনটেড পেপার ব্যবহার করিলে,ফিটনেস সার্টিফিকেটের সহিত গাড়ীর রংয়ের মিল না থাকিলে, গাড়ীর টায়ার পরিবর্তন করিলে,সরকার নির্ধারিত রং ব্যতিত অন্যকোন রং ব্যবহার করিলে,বিআরটিএর অনুমতি ছাড়া গাড়ীর রং পরিবর্তন করিলে ও মালিকানা পরিবর্তন না করিলে-জরিমানা হবে ১,২৫০/-টাকা মাত্র ।



ধারা-১৫২: এ ধারায় বলা হয়েছে যে,রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট,ফিটনেস সার্টিফিকেট, রুট পারমিট (যে সকল যানবাহনের ক্ষেত্রে প্রযোজন্য) না থাকিলে, ফিটনেস সার্টিফিকেট অথবা রুট পারমিটের মেয়াদ শেষ হইলে,রুট পারমিটের শর্ত অমান্য করিলে, সিএনজি চালিত অটোরিকসা, ট্যাক্সিক্যাব এর চালক গন্তব্যস্থলে যাত্রী বহনে অস্বীকার করিলে,অনটেষ্ট, এপ্লাইড রেজিষ্টেশন(এ এফ আর),ড্রাইবার ব্যতিত আট আসন বিশিষ্ট গাড়ীর রুট পারটিম না থাকিলে, গ্যারেজ নাম্বার দিয়ে গাড়ী চালাইলে-এ ধরণের প্রতিটি অপরাধের জন্য পৃথক পৃথক ভাবে ৭০০/-টাকা মাত্র জরিমানা করার বিধান আছে এবং হয়ে থাকে।



ধারা-১৫৩: এ ধারায় বলা হয়েছে যে,লাইসেন্স ব্যতিত কিংবা প্রবিধান লংঘণ পূর্বক গাড়ীতে এজেন্ট বা ক্যানভাসার নিয়োজিত থাকিলে-জরিমানা হবে ১৫০/-টাকা মাত্র ।



ধারা-১৫৪: যানবাহনের ওজন, মালসহ ওজন, নির্ধারিত ওজনের চেয়ে অতিরিক্ত থাকিলে-জরিমানা হবে ৫০০/-টাকা মাত্র ।



ধারা-১৫৫: এ ধারায় বলা হয়েছে যে,ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেট না থাকিলে, ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেটে মেয়াদ শেষ হইলে-জরিমানা হবে ৫০০/-টাকা মাত্র ।



ধারা-১৫৬: মটরযান কিংবা আইনানুগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত সংশ্লিষ্ট মটরগাড়ী চালাইয়া বাহিলে নিয়া গেলে-জরিমানা হবে ৫০০/-টাকা মাত্র ।



ধারা-১৫৭: এ ধারায় বলা হয়েছে যে,গাড়ী দাঁড় করাইয়া অন্যান্য যানবাহন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করিলে, নষ্ট গাড়ী মেরামত করত: অন্য যানবাহন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করিলে, যাত্রী উঠানামা করাইয়া রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিলে,রং পার্কিং করিয়া রাস্তায়/ফুটপাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিলে-জরিমানা হবে ২৫০/-টাকা মাত্র ।



ধারা-১৫৮: এ ধারায় বলা হয়েছে যে,গাড়ীর স্পীড গভর্ণর সীল না থাকিলে, সিএনজি চালিত অটোরিকসা এবং ট্যাক্সিক্যাবের মিটার সেলের উপর অন্যায় হস্তক্ষেপ করিলে অর্থাৎ ঘষামাঝা ও টেম্পারিং করিলে-জরিমানা হবে ২৫০/-টাকা মাত্র ।



তাছাড়া লেন অমান্য অথবা লালবাতির সংকেত অমান্য করিলে ৫০০/-টাকা জরিমানা ছাড়াও ধারা-১৩৭, ১৩৯, ১৫০ ব্যাতিত অন্যান্য সকল ধারা মোতাবেক দায়িত্বপালনকারী হলুদ জ্যাকেট পরিদেয় সার্জেন্টগণ (সেয়েরা ইকো, চেকপোষ্ট এবং ইনফোসমেন্ট পেট্রোল কারে দায়িত্ব পালনকারী সার্জেন্ট) কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার ক্ষেত্রে জরিমানার পরিমান উপরে বর্ণিত ধারায় প্রত্যেকটিতে দ্বিগুনহারে বৃদ্ধি পাবে ।



আমাদের দেশের বর্তমান পেক্ষাপটে মটরযান অধ্যাদেশটি সংশোধনসহ এবং জরিমানার পরিমান ৪গুন বৃদ্ধি করিলে মনে হয় রাস্তায় এতদসংক্রান্ত অপরাধ কম সংঘটিত হবে এবং যানজট কম হবে বলে আমার মনে হয়। আপনাদের মতামত কি-লাইক দিন ।

বড় হচ্ছে বাংলাদেশ, চলতি বছরেই হবে নতুন মানচিত্র ।

চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বরিশাল, খুলনাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সাগরের বুক চিরে জেগে উঠছে নতুন নতুন ভূখণ্ড। এর পরিমাণ কমছে কম ১০,০০০ বর্গকিলোমিটার। আর এসব ভূমি অন্তর্ভুক্ত করে সরকার চলতি বছর নতুন মানচিত্র করতে যাচ্ছে, যাকে বাংলাদেশ বড় হতে চলেছে বলে খবর দিয়েছে জাতীয় দৈনিক সমকাল।

পত্রিকাটির ভাষ্যে, নতুন বছরেই নতুন মানচিত্র হবে বাংলাদেশের। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বরিশাল, খুলনাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সাগরের বুক চিরে জেগে উঠছে নতুন নতুন ভূখণ্ড। এসব নতুন ভূখণ্ডের কোনোটিতে শুরু হয়েছে কৃষিজ পণ্যের উৎপাদন।
কোনোটিতে আবার চলছে বনায়নের কাজ। আবার বাংলাদেশের সীমায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাওয়ায় কোনোটিতে ভূমিহীনরা শুরু করেছে বসতিও। ১৪৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সন্দ্বীপের তিন পাশে গড়ে ওঠা নতুন ভূমির পরিমাণ মূল সন্দ্বীপের প্রায় দ্বিগুণ!
আবার নোয়াখালী জেলা ঘিরে গড়ে উঠেছে নিঝুম দ্বীপ, চরকবিরা, চরআলীম, সাগরিয়া, উচখালী, নিউ ডালচর, কেরিং চরসহ প্রায় ৫,০০০ বর্গকিলোমিটারের নতুন ভূমি। এ জেলার দক্ষিণ প্রান্তে জেগে ওঠা নতুন ভূমির মধ্যে প্রায় ৭,০০০ হেক্টরে বনায়নও করেছে বন বিভাগ। একইভাবে নতুন ভূমি জেগে উঠেছে খুলনার সুন্দরবন এলাকা ঘিরেও।
নতুন এ ভূমি খুলে দিচ্ছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। কারণ নতুন ভূখণ্ডে ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করা, কৃষি উৎপাদন বাড়ানো ও বেকারত্ব হ্রাসের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাই এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য, কৃষি, ভূমি, বন বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারের ছয়টি বিভাগের সমন্বয়ে কাজ করছে বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা।
নেদারল্যান্ডস ও ইফাডের আর্থিক সহায়তায় ১৯৭০ সাল থেকেই এমন সমন্বিত কাজ করছে বাংলাদেশ। সমন্বিত এমন কার্যক্রমের সুফলও মিলছে। প্রতি বছর গড়ে অন্তত ২০ বর্গকিলোমিটার নতুন চরের দেখা মিলছে। তবে নদী ও সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে ব্যাপক ভাঙনের কারণে গড়ে হারিয়ে যাচ্ছে এর আট বর্গকিলোমিটার।
সংশ্লিষ্ট সব সূত্রে আলাপ করে জানা গেছে, ভাঙাগড়ার এ খেলার মাধ্যমেই গত চার দশকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে যুক্ত হয়েছে অন্তত ১০,০০০ বর্গকিলোমিটার বা ১০ লাখ হেক্টর নতুন ভূমি। ক্রসড্যাম ও বনায়নের চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে এর সঙ্গে আরো ২০,০০০ বর্গকিলোমিটার বা ২০ লাখ হেক্টর ভূমি যুক্ত হওয়ারও সম্ভাবনার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, জেগে ওঠা নতুন ভূমি মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজও শুরু করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। জেগে ওঠা নতুন ভূমির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে ২০১৬ সালেই কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন নামে নতুন একটি আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে এ মন্ত্রণালয়।
এ প্রসঙ্গে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, ‘২০১৬ সালেই নতুন আইন চূড়ান্ত করব আমরা। এ আইনের খসড়ায় ভূমি ব্যবস্থাপনা, ভূমি উন্নয়ন, ভূমি ব্যবহার ও কৃষিজমি সুরক্ষাসহ ভূমি-সংক্রান্ত বিষয়াদি থাকবে। এজন্য ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে নিয়ে বৈঠকও করেছি আমরা।’
একই প্রসঙ্গে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বললেন, ‘ভূমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হাইকোর্টেরও নির্দেশনা আছে। এজন্য ভূমি ব্যবহার বাস্তবায়ন নামক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি ভূমি শ্রেণীকরণের কাজ করছে। ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে এই শ্রেণীকরণের কাজ শেষ হবে।’
জানা গেছে, বাংলাদেশের সমুদ্রতটে জেগে ওঠা নতুন ভূখণ্ড ব্যবহার উপযোগী করতে সরকারের সঙ্গে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিস (সিআইজিএস), চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট (সিডিএসপি), অ্যাকুয়াচারি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইডিপি), ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংসহ (আইডব্লিউএস) এক ডজন সংস্থা। জেগে ওঠা নতুন ভূমির ফিসিবিলিটি স্টাডি করে এটি ব্যবহারের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে সরকারকে অবহিতও করছে তারা।
যেভাবে টেকসই হয় নতুন ভূমি
নোয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আমির হোসেন জানান, সাগরের বুকে জেগে ওঠা নতুন ভূমিকে টেকসই করতে প্রথমে বনায়নের কাজ শুরু করে বন বিভাগ। ১৫ থেকে ২০ বছর বনায়ন করা হয়। নরম মাটিকে শক্ত করতে প্রথমে রোপণ করা হয় কেওড়া গাছ। এরপর পর্যায়ক্রমে রোপণ করা হয় বাইন, করমচা, পুনাইল ও কাঁকড়া গাছের চারা। এসব গাছ চরের নরম মাটিকে শক্ত করে। ১০ থেকে ১৫ বছর পর এসব গাছ বড় হয়ে মাটি আঁকড়ে রাখে। তখন নতুন ওই ভূখণ্ড মানুষের বসবাসযোগ্য হয়।
যেসব নতুন ভূমিতে বড় হবে মানচিত্র
সন্দ্বীপের উত্তরে বামনী নদী এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী। এরও পশ্চিমে হাতিয়া দ্বীপ। পূর্বে সন্দ্বীপ চ্যানেল। এ চ্যানেলের পূর্ব প্রান্তে চট্টগ্রাম। আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপকূলের বর্তমান দূরত্ব ১০ মাইল। নোয়াখালী থেকে ১২ মাইল এবং হাতিয়া থেকে ২০ মাইল। কিন্তু বর্তমানে এ দূরত্ব ক্রমশই কমছে। কারণ সন্দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের আজিমপুর এলাকা থেকে উত্তর-পশ্চিম কোণের দীর্ঘাপাড় ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় জেগেছে নতুন ভূমি।
আবার উত্তর-পশ্চিম অংশে থাকা উড়িরচরের দক্ষিণে জেগে উঠেছে আরো প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ লক্ষ্মীচর ও ভবের চর। নতুন ভূমি জেগেছে সন্দ্বীপের পূর্ব প্রান্তেও। এ দ্বীপের উত্তরেও জেগে উঠেছে কয়েক হাজার হেক্টর নতুন ভূমি। এরই মধ্যে এ ভূমির একটি অংশকে দীর্ঘাপাড় ইউনিয়ন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ ইউনিয়নে বসবাস শুরু করা কয়েক হাজার ভূমিহীন পরিবারকে সুরক্ষা দিতে ২০১১ সালের জুন মাসে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রশাসক। ২০১২ সালে নতুন এ ইউনিয়নে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিও নির্বাচন করা হয়েছে।
সন্দ্বীপের আশপাশে জেগে ওঠা নতুন ভূখণ্ডে এখন চলছে কৃষিকাজ। নতুন চরের বিস্তীর্ণ ঘাস ব্যবহার করে হাজার হাজার গরু, ছাগল ও মহিষ লালন-পালন করছে নিম্নবিত্তের মানুষ।
সন্দ্বীপের উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার শাহজাহান বিএ বলেন, ‘জেগে ওঠা নতুন ভূমির পরিমাণ সন্দ্বীপের মূল ভূখণ্ডের প্রায় দ্বিগুণ। যথাযথভাবে ব্যবহার করা গেলে এ ভূখণ্ড খুলে দেবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।’
নতুন ভূমিতে গড়ে ওঠা দীর্ঘাপাড় ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘যে হারে চর জাগছে তাতে সন্দ্বীপের উত্তর সীমান্তের ভবানী নদী ভরাট হয়ে হয়তো লেগে যাবে উড়িরচরের সঙ্গে। তখন সন্দ্বীপের আয়তন আরও বাড়বে।’
নোয়াখালী জেলার হাতিয়া দ্বীপ সংলগ্ন নতুন ভূমি নিঝুম দ্বীপেও শুরু হয়েছে মানুষের বসবাস। এ অঞ্চলের ঘন বনাঞ্চলে চরছে হরিণ, বানরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। নিঝুম দ্বীপের পাশে এখন নতুন করে জেগেছে চরকবিরা নামক একটি এলাকা। একটু দূরে গেলে দেখা মিলছে চরকালাম, চরআলীম, সাগরিয়া, উচখালী, নিউ ডালচর নামক নতুন নতুন ভূখণ্ডের। হাতিয়া দ্বীপের দক্ষিণ এবং উত্তর প্রান্তেও জেগে উঠেছে নতুন ভূমি। একই অবস্থা দেখা গেছে কেরিং চরের দক্ষিণ প্রান্তেও।
মানচিত্রে যোগ হলো ১০ লাখ হেক্টর নতুন ভূমি
উপকূলীয় এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হিসাব মতে, গত চার দশকে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে ১০ লাখ হেক্টর নতুন ভূমি পেয়েছে বাংলাদেশ। জেগে ওঠা এসব ভূমির মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই হচ্ছে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ভোলা জেলায়।
ক্রসড্যামের মাধ্যমে নতুন ভূমি উদ্ধার প্রসঙ্গে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিচালিত একটি প্রকল্প প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, ১৯৫৭ সালে এ অঞ্চলে প্রথম ক্রসড্যাম দিয়ে ২১ হাজার হেক্টর নতুন ভূমি উদ্ধার করে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে নোয়াখালীতে রামগতি নামক এলাকাকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়।
আবার ১৯৬৫ সালে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ আরও একটি ক্রসড্যাম তৈরি করে সোনাপুর রেলস্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয় চরজব্বার নামক এলাকাকে। এতে উদ্ধার করা হয় প্রায় ৭৯ হাজার হেক্টর নতুন ভূমি।
সিডিএসপি প্রকল্পের এক কর্মকর্তা জানান, মেঘনা নদী, হাতিয়া ও সন্দ্বীপ চ্যানেলে পরিচালিত পৃথক তিনটি প্রজেক্টে তারা ২৫,৮৯৯ একর ভূমিতে এরই মধ্যে ১৮,৫১৬ পরিবারকে পুনর্বাসন করেছেন।
এদিকে, ভোলার মনপুরা দ্বীপেও নতুন ভূখণ্ড পেয়েছে বাংলাদেশ। সুন্দরবন ও সাতক্ষীরা রেঞ্জের আশপাশে যুক্ত হওয়া নতুন ভূখণ্ডকে বিবেচনায় আনলে সব মিলিয়ে সীমানায় যুক্ত হওয়া নতুন ভূখণ্ডের পরিমাণ হবে অন্তত ১০ লাখ হেক্টর।
জেগে ওঠা নতুন ভূখণ্ডের সম্ভাবনা
জেগে ওঠা নতুন ভূখণ্ডের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা বলেন, ‘নতুন ভূমিকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা গেলে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এ ভূমি কৃষিজ কাজে ব্যবহার করেও কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় করতে পারে সরকার।’
একই প্রসঙ্গে হাতিয়ার সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস বলেন, ‘নতুন ভূখণ্ড সংরক্ষণ করা গেলে বদলে যাবে বাংলাদেশের মানচিত্র। বদলানো সম্ভব দেশের অর্থনীতিও। এ জন্য নতুন ভূমির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আশার কথা যে, এজন্য কাজও শুরু করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।’

ফাঁসির আগে যা জানিয়ে গিয়েছিলেন সেই বাংলা ভাই: যা এখনো অনেকেরই অজানা

২০০৭ সালের ৩০ মার্চ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শুরা কমিটির প্রধান সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, আধ্যাত্মিক নেতা শায়খ আবদুর রহমান, অপারেশন কমান্ডার আতাউর রহমান সানিসহ ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর হয় এর আগে ২০০৬ সালের ২ মার্চ সিলেটের শাপলাবাগ এলাকা থেকে শায়খ আবদুর রহমান ও ৬ মার্চ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে বাংলা ভাইকে গ্রেফতারের সময় তারা গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু সে সময় এ ধরনের দুর্ধর্ষ জঙ্গি নেতা গ্রেফতারের পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গণমাধ্যমের সামনে তাদের বক্তব্য দিতে দেয়নি। পরে আদালতে বাংলা ভাই এ ব্যাপারে জবানবন্দি দেন। আদালত এ জবানবন্দি রেকর্ড করে। বাংলা ভাইয়ের ঐ জবানবন্দির একটি কপি সংবাদ মাধ্যমের কাছে এসেছে। জবানবন্দিতে বাংলা ভাই জানিয়েছেন কিভাবে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে, এর পেছনে তত্কালীন গডফাদার কারা এবং অপারেশন চালাতে গিয়ে কাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছিলেন ইত্যাদি।
বাংলা ভাইয়ের জবানবন্দিতে বলা হয়, ২০০৩ সালে দিনাজপুরের ছোট গুড়গুলা এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জেএমবি কর্মী বাদল নিহত হয়। ঐ ঘটনায় পুলিশ শুরা সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ ও এহসার সদস্য হাফেজ হাবিবকে গ্রেফতার করে। তাদের মামলা পরিচালনার জন্য দিনাজপুর আদালতে এডভোকেট গোলাম মোস্তফা চার্লি ও এডভোকেট ওসমান আলীকে নিয়োগ করা হয়। একই বছর যশোরের ঝিকরগাছায় বিস্ফোরক ও অস্ত্রসহ জেএমবির জাহিদুল ইসলাম সুমন ও শহীদুল্লাহ গ্রেফতার হয়। তাদের মামলা পরিচালনার জন্য যশোর আদালতের এডভোকেট এনামুল হক ও এডভোকেট শহীদুর রহমানকে নিয়োগ করা হয়। বাংলা ভাই জানান, ২০০১ সালে জেএমবির রাজশাহী পশ্চিম বিভাগের দায়িত্ব পালনকালে ইসলামী ব্যাংক বগুড়া শাখা থেকে তাদের সংগঠনের টাকা উত্তোলন করা হয়। ঐ ব্যাংকের একাউন্ট বাংলা ভাই, আব্দুল আউয়াল ও খালেদ সাইফুল্লাহর নামে খোলা ছিল।
২০০৩ সালে খালেদ সাইফুল্লাহ গ্রেফতার হওয়ার পর আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক বগুড়া শাখায় আরেকটি যৌথ একাউন্ট খোলা হয়। ২০০৩ সালের ২০ জানুয়ারি জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের বেগুন গ্রামে চিশতিয়া মাজারে বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে খাদেমসহ ৫ জনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ২০০৪ সালের ৩১ মার্চ রাজশাহীর বাগমারায় সর্বহারা নিধনের নামে জেএমবির জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি) নামের ব্যানারে তাদের অভিযান শুরু হয়। ২৪ মে পর্যন্ত এই অভিযান চলে। অভিযানে ওসমান বাবু, দীপংকর, শহীদুল, আব্দুল কাইয়ুম বাদশা, খেজুর আলীসহ ৭ জনকে হত্যা করা হয়। অভিযান চলাকালে শায়খ আবদুর রহমান ভারতীয় চর সন্দেহে দুইজনকে প্রকাশ্যে জবাই করে হত্যা করে। ঐ দুই ভারতীয় বাগমারা এলাকায় পাগল বেশে ঘোরাফেরা করছিল।
তারা হিন্দীতে কথা বলতো। বাংলায় কথা বলতে পারতো না বলে তাদের প্রতি জেএমবির সন্দেহ হয়। অভিযান চলাকালে রাজশাহীর তত্কালীন এসপি মাসুদ মিয়া, নওগাঁর তত্কালীন এসপি ফজলুর রহমান ও নাটোরের তত্কালীন এসপি সরাসরি তাদের সহযোগিতা করেছিলেন। জবানবন্দিতে বলা হয়, সর্বহারা নিধন অভিযানের শুরুতে রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শীষ মোহাম্মদের বাসায় তাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঐ বৈঠকে তত্কালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের সঙ্গে বাংলা ভাইয়ের মোবাইল ফোনে কথোপকথন হয়। সর্বহারা নিধন অভিযান চলাকালে ব্যারিস্টার আমিনুল হক ছাড়াও তত্কালীন ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, গৃহায়ন ও পূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির, সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফা, শামছুদ্দিন প্রামাণিক ও ডা. ছালেক চৌধুরী ও রাজশাহী সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে সার্বক্ষণিক মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো। জবানবন্দিতে বাংলা ভাই আরো বলেন, প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবিরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হওয়ার সময় তিনি বহুবার তার বাড়িতে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। আলমগীর কবিরের ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন বুলু একজন সর্বহারা নেতা। আলমগীর কবিরের সম্বন্ধি সাবেক সংসদ সদস্য ওহিদুল মাস্টারও একজন সর্বহারা নেতা।
অভিযান চলাকালে সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফা জেএমবির তহবিলে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এ টাকা তিনি পুঠিয়া থানার ওসির মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দেন। তত্কালীন ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর নাটোরের বাসায় তার সঙ্গে বাংলা ভাইয়ের অন্তত ১০ মিনিট বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় উপমন্ত্রী তাকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। বাগমারা অভিযান চলাকালে তত্কালীন রাজশাহী সিটির মেয়র মিজানুর রহমান মিনু তাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। বাগমারা এলাকার সংসদ সদস্য আবু হেনা জেএমবির অভিযানের বিরোধিতা করেন। পরে এলাকার জনসাধারণের চাপে তিনি তার ভাতিজাকে জেএমবির অপারেশনে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেন। অভিযান চলাকালে রাজশাহী এলাকার সর্বহারা গ্রুপের একটি তালিকা করা হয়। এরা হলেন ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা, পূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবিরের ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন বুলু, বাগমারা শিকদারী হাটের আব্দুস সোবহান, আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন সেন্টু, আলমগীর কবিরের শ্যালক ওহিদুল মাস্টার, পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রতন ওরফে তিতাস, গোয়ালকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন, বাগমারার কানা আবুল, আক্কাস, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের ভাই আলম, শিকদারী হাটের টিপু মেম্বার, আজহার মেম্বার, রানীনগরের খোদা বখস, গৌতম শীল, বাগমারার জনি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ছাত্র আর্ট বাবু, আত্রাইয়ের রবিউল ওরফে তারেক এবং ফজল ওরফে দুর্জয়ের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। এদের প্রকাশ্যে জবাই করে হত্যার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। ২০০৪ সালের ২৪ মে’র পর বাংলা ভাই আত্মগোপন করেন। নওগাঁর আত্রাই থেকে তিনি বগুড়ার নন্দীগ্রাম এলাকায় যান। সেখান থেকে ২ হাজার টাকায় মাইক্রোবাস ভাড়া করে টাঙ্গাইল চৌরাস্তায় পৌঁছেন। টাঙ্গাইল থেকে মোটর সাইকেলে তিনি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আসেন। মুক্তাগাছায় আসার পরও রাজশাহীর ঐসব নেতাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ছিল বাংলা ভাইয়ের। তারা জানিয়েছিলেন যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে উপরের নির্দেশে তাকে বিদেশ পাঠানো হবে।

ঢাকা পুলিশে ১৩ পদে বড় বদল, সিন্ডিকেটের মাথায় হাতবাংলাদেশ পুলিশ (লোগো)ঢাকা: ঢাকা জেলার পুলিশ প্রশাসনে একটি বড় ঝাঁকুনি দেওয়া

ঢাকা জেলার পুলিশ প্রশাসনে একটি বড় ঝাঁকুনি দেওয়া হয়েছে। নিরবে ঘটনাটি ঘটে গেলেও পুলিশ বিভাগে বিষয়টি বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। মাত্র একরাতে একযোগে বদলি করা হয়েছে ১৩ জন পুলিশ ইন্সপেক্টরকে।

যাদের অনেকেই ঢাকার আশেপাশে বিভিন্ন থানায় অফিসার ইন চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। 

শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বাংলানিউজকে জানিয়েছে, বিশেষ একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবশালী বলয় ভেঙ্গে ফেলতেই এই রদবদল। যে সিন্ডিকেট ছিলো খোদ পুলিশেরই তৈরি। 

সূত্রমতে, অতীতে ঢাকা জেলার সাভার,আশুলিয়া এমনকি ধামরাই থানায় ওসির পদে যোগদানের আগে বিশেষ ‘নিলামে’ অংশ নিয়েই তবেই নিয়োগ পেতেন ‘ভাগ্যবানরা’। বিশেষ জেলা ছাড়াও যোগ্যতার বিচারে মোটা অংকের ‘নজরানা’ দিয়ে তবেই যোগ দিতে হতো এসব থানার শীর্ষ পদে। দীর্ঘদিনের চর্চায় যা অনেকটা প্রচলিত ‘রেওয়াজ’ হিসেবেই পরিচিতি ছিলো সবার কাছে।
তবে এবার ঘটলো ব্যতিক্রমী ঘটনা। 

সূত্র জানিয়েছে, বদলি বাণিজ্যের প্রভাবশালী সেই সিন্ডিকেটের এবার রীতিমতো মাথায় হাত। তদবির আর নানা ছককে ভণ্ডুল করে দিয়ে ‘লেনদেন’ ছাড়াই এই রদবদলে চোখ কপালে উঠেছে অনেকের।

উচ্চ পর্যায়ের একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সততায় পরীক্ষিত, অপেক্ষাকৃত পেশা

দাররা দায়িত্ব পেয়েছেন।  
উদাহরণ হিসেবে বলা হচ্ছে- আশুলিয়া থানায় ওসির দায়িত্বে যিনি এসেছেন তাকে কেউ কখনো কল্পনাও করেনি। একই ধরনের পরিবর্তন এসেছে সাভার মডেল থানার ওসি পদেও।

সূত্রমতে, ঢাকা জেলার গুরুত্বপূর্ণ থানাগুলোতে ওসির পদে পোস্টিং পেতে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি ছাড়াও নানান পর্যায়ে ১৫ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত গুনতে হতো অনেককে। আর এই লগ্নির টাকা তুলতে অতীতে তাদের বেপরোয়া অর্থের পেছনে ছুটতে হতো।
 
উচ্চ পর্যায়ের ওই পুলিশ কর্মকর্তাটি বাংলানিউজকে বলেন, এসব কারণে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেয়া এক অর্থে ছিলো ছিদ্র পাত্রে পানি ঢালার মতোই।

মাদকের মাসোহারা, ঝুট বাণিজ্য, তৈরি পোশাক শিল্পে চাঁদাবাজি, পোশাক কারখানায় অসন্তোষ তৈরি করে আবার তা সামাল দেবার নামে অর্থ গ্রহণ প্রভৃতি খাত থেকেই লগ্নির টাকা যেতো পুলিশে। আর তা নিয়ে সময় ব্যয় করতে হতো তাদের। ফলে এই রদবদল বেশ বড় ঝাঁকুনি দিয়েছে। 

আলোচিত এ পর্বের রদবদলে সাভার থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামানকে বদলি করা হয়েছে ডিএমপিতে। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন আশুলিয়া থানার ওসি মোহসীনুল কাদির। আর ডিবি ঢাকা উত্তরের ওসির দায়িত্বে থাকা অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত আব্দুল আওয়ালকে দেয়া হয়েছে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে। এই পদে ধামরাই থানার ওসি শেখ রিজাউল হক দিপুর যোগদানের গুঞ্জন থাকলেও তিনি আপাতত ধামরাইতে থাকছেন।
তবে ধামরাই থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত দীপক কুমারকে ডিবি ঢাকা দক্ষিণের ওসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে। আর একই পদে থাকা শোয়েব মোল্লাকে বদলি করা হয়েছে দোহারের ইন্সপেক্টর তদন্ত পদে। অন্যদিকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত সাঈদ আল মামুন যোগ দিচ্ছেন ধামরাইতে, ইন্সপেক্টর তদন্ত হিসেবে।

গোয়েন্দা বিভাগে রদবদলের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) ওসির দায়িত্বে আসছেন এএফএম সাঈদ। ডিবি দক্ষিণে ভালো কাজের পুরস্কার হিসেবে সাঈদকে সহযোগিতা করার জন্য উত্তরে দ্বিতীয় শীর্ষ প্রধান হিসেবে যোগ দিচ্ছেন ইন্সপেক্টর আবুল বাসার।

দোহার থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন নাজমুলকে বদলি করা হয়েছে ডিবি দক্ষিণে দুই নম্বর টিমের ইনচার্জ হিসেবে।
ইকুরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কামাল হোসেন দায়িত্ব পাচ্ছেন দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন্স পদে। এই পদে কামালের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন জেলায় সদ্য যোগ দেয়া পুলিশ ইন্সপেক্টর দেলোয়ার হোসেন।
একই সঙ্গে সদ্য যোগ দেয়া পুলিশ ইন্সপেক্টর সোহরাওয়ার্দীকে পাঠানো হচ্ছে সাভার মডেল থানায় ইন্সপেক্টর অপারেশন্স হিসেবে। অন্যদিকে এই থানায় ইন্সপেক্টর অপারেশন্স থেকে ইন্সপেক্টর তদন্তে ফিরছেন মাহফুজুর রহমান।

সূত্রমতে, পুলিশের পদ বিন্যাস ও বদলি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও তার নেপথ্যে থাকতো মোটা অংকের অর্থের লেনদেন। আর এ কাজটি সম্পন্ন করতে সব সময় সক্রিয় থাকতো বিশেষ একটি সিন্ডিকেট।

জনপ্রতিনিধি,পুলিশেরই উদ্যোগে এর বড়কর্তাদের সমন্বয়ে সেই সিন্ডিকেটকে নজরানা দিয়ে তবেই যোগদান করতে হতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে। যার প্রমাণ দেখা গেছে অতীতে।

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার কোন কর্মকর্তাকে বদলি করার পর তা আটকে যাওয়ারও নজির রয়েছে অনেক। কারণ ওই সিন্ডিকেট।

সূত্র জানায়, এসব কারণে জেলা পুলিশ প্রশাসনে চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠা করা ছিলো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। যা এবার অনেকটা ভেঙ্গে দেওয়া সম্ভব হলো। 

সূত্র মতে, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার পদে শাহ মিজান শাফিউর রহমান ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি পদে মোহাম্মদ শফিকুর ইসলামের যোগদানের পরই শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যার অংশ হিসেবেই এই রদবদলকে দেখছেন অনেকেই।

সূত্রমতে, ইতোমধ্যে আরও বেশ কয়েকজন ওসির ‘আমলনামা’ তৈরি করা হয়েছে। তারাও রয়েছেন নিবিড় পর্যবেক্ষণে। ভালো কাজ আর সততার মাপকাঠিতে অচিরেই আরেকদফা রদবদল হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছে সূত্রটি।

যোগাযোগ করা হলে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রশাসনে বদলী পদন্নোতি একটি নিয়মিত ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে এই রদবদলের মাধ্যমে আমরা জনগনকে একটি বার্তা দিতে চেয়েছি।’

শাফিউর বলেন, পুলিশ জনগনের বন্ধু। ঘুষ দুর্নীতি আর তদবির করে বদলির দিন শেষ। অন্তত আমার কাছে তার স্থান নেই। যারা ভালো কাজ করবেন তারা ভালো দায়িত্ব পাবেন। কারণ আমরা চাই নাগরিক জীবনে স্বস্তি ফিরে আসুক।পুলিশ হোক জনগনের প্রকৃত বন্ধু।’